দিল্লি: বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে নামছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladamir Putin)। সফর ঘিরে (Putin’s Visit to India) রাজধানীতে চলছে অতিসতর্ক নিরাপত্তা। পাঁচ স্তরের নিরাপত্তাবলয়ের পাশাপাশি নজরদারিতে থাকবে এআই, ড্রোন এবং বিশেষ বাহিনী। তবে নিরাপত্তার পাশাপাশি আলোচনার কেন্দ্রে এসেছে পুতিনের খাদ্যাভ্যাসও।
রুশ প্রেসিডেন্টের সফরসঙ্গী হয়ে দিল্লিতে আসছে একটি পূর্ণাঙ্গ মোবাইল কিচেন। পুতিনের বিমানে আলাদা কম্পার্টমেন্টে করে নিয়ে আসা হবে রাশিয়ান টিভোরোগ (চিজ), রাশিয়ান আইসক্রিম এবং বোতলজাত জলসহ বিশেষ খাদ্যসামগ্রী।
আরও পড়ুন: দিল্লিতেই বিশ্বের সবচেয়ে ধনী শাসকের প্রাসাদে থাকবেন পুতিন!
রাশিয়ার প্রোটোকল অনুযায়ী, দেশের বাইরে গিয়ে কোনও স্থানীয় খাবার বা জল স্পর্শও করেন না পুতিন। ফলে ভারতীয় শেফদের তৈরি খাবার পরিবেশন করা হলেও তা তিনি মুখে দেবেন না— এটাই পরিষ্কার করে দিয়েছে ক্রেমলিন।
ক্রেমলিন সূত্রের দাবি,“বাইরের খাবার প্রেসিডেন্টের সহ্য হয় না। তিনি কঠোর ডায়েট প্ল্যানে থাকেন এবং নিরাপত্তার কারণেও বিদেশি খাবার নিষিদ্ধ।”
পুতিনের খাদ্য নিরাপত্তা বাহিনী কোথাও কোনও ঝুঁকি নেয় না। তাঁর জন্য সব খাবার তৈরি হয় রাশিয়ার একটি বিশেষ সুরক্ষিত খামারে, যার প্রতিটি স্তর নজরদারির আওতায় থাকে।
প্রাক্তন এফএসও অফিসার আন্দ্রেই সোলদাটোভের তথ্য অনুযায়ী, ২০০১ সাল থেকে পুতিনের সঙ্গে বিদেশ সফরে যায় একটি পোর্টেবল ফুড ল্যাব।
খাবার পরিবেশনের আগে প্রতিটি পদ স্পেক্ট্রোমিটার এবং রাসায়নিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হলে তা পরিবেশন করা হয় না।
২০১৭ সালে ফ্রান্সের ভার্সাই প্রাসাদে ফরাসি শেফরা বিশেষ মেনু তৈরি করলেও পুতিন সেখানে খেয়েছিলেন শুধুই তাঁর নিজস্ব রাঁধুনিদের রান্না— এমন উদাহরণও রয়েছে। ২০১৪ সালে মুম্বই সফরে তাজ হোটেলের একটি তলা FSO দখলে নিয়ে নিয়েছিল। ২০১৮ সালে গোয়ায় দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে রুশ শেফরা নিজেদের স্টোভ বসিয়ে রান্না করেছিলেন। এবার দিল্লি সফরেও সেই প্রথা বজায় থাকছে। ভারতীয় আতিথেয়তায় বিরিয়ানি বা কাবাব পরিবেশন করা হলেও সেগুলি থাকবে মূলত ক্যামেরার সামনে সাজানোর জন্য। খাবেন কেবল রুশ প্রেসিডেন্টের নিজস্ব খাবারই।
দেখুন আরও খবর:







